শ্রীলংকাকে ৪০০ রানের নিচে রাখতে চাওয়ার যে ইচ্ছে ছিল তা পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানে থেমেছে লংকানরা। অবশ্য তা চারশসমানই বটে।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস যেভাবে দুদিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন এমন এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলার পর দ্বিশতক না পাওয়া তার জন্য হতাশারই বটে। ১৯৯ রানে ফিরতে হয়েছে লংকান অলরাউন্ডারকে। নাঈম হাসানের বলে স্কয়ার লেগে সাকিব আল হাসানের হাতে বন্দী হন ম্যাথিউস।

তার ৩৯৭ বলে ১৯ চার ও ১ ছয়ে সাজানো মহাকাব্যিক ইনিংস থামার পাশাপাশি শেষ হয় লংকানদের প্রথম ইনিংসও। ৯৯ ও ১৯৯ দুবার এমন নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হওয়া একমাত্র ব্যাটার ম্যাথিউস। এই অলরাউন্ডারকে হতাশা উপহার দেওয়া নাঈম অবশ্য স্মরণীয় করে রাখলেন চট্টগ্রাম টেস্ট।

 

১৫ মাস পর দলে ফিরে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফাইফারের পর ৬ উইকেট। সাদা পোশাকে যা তার ক্যারিয়ার সেরাও। দ্বিতীয় দিন চার উইকেট নেন নাঈম। লংকানদের ১০ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। তার মধ্যে দলে ফেরা আরেক তারকা সাকিবের শিকার তিনটি।

 

তৃতীয় সেশনে প্রথম ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় দিনটা বেশ স্বস্তির সঙ্গে পার করে দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭৬ রান জমা করেছে স্বাগতিকেরা। টাইগাররা পিছিয়ে আছে ৩২১ রানে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ৩৫ এবং মাহমুদুল হাসান জয় ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।

 

৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা। জৈষ্ঠ্যের তীব্র গরমের মধ্যে টাইগারদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল। দুজনের ১৩৬ রানের জুটি থামান নাঈম। চান্দিমাল ফেরেন ৬৬ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রাপ্তি দুই উইকেট।

 

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব। তবে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়েন ম্যাথিউস ও বিশ্ব ফার্নান্দো। শেষ পর্যন্ত সেই জুটিও ভাঙেন নাঈম। এরপর ডাবল সেঞ্চুরি থেকে এক রানের দূরত্বটা আর ঘোচাতে পারলেন না ম্যাথিউস।